শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
শফিউল আলম, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা: তাহিরপুর উপজেলায় সম্প্রতি জেডিসি পরীক্ষা-২০১৭ এর কৃষি শিক্ষার উত্তরপত্র দেখছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী। ঘটনার তদন্তে সরেজমিনে প্রমান মেলে বালিজুরী এইচ এ উলুম সিনিয়র আলিম মাদরসায়। বৃহস্পতিবার সকালে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মনিটরিং করতে উক্ত মাদরাসায় গেলে শিক্ষক মোঃ মাহবুব উল্লাহ, সহকারি শিক্ষক (কৃষি) এ ব্যাপারে নিজের দায়িত্ব অবহেলার কথা নিজেই স্বীকার করেন। তিনি জানান, আমি উত্তরপত্র দেখেছি এবং সেগুলো যাচাই করার জন্য সদ্য পরীক্ষার্থীগণদের দিয়ে খাতার মার্ক যোগ করার জন্য দিয়েছি। সদ্য জেডিসি পরীক্ষার্থী বালিজুরী ইউনিয়নের মেঞ্জারগাঁও গ্রামের মুছদ্দর আলীর মেয়ে সাদিয়া উত্তরপত্র দেখছে ৫০টি, একই গ্রামের মাওলঅনা ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে সুরাইয়া উত্তরপত্র দেখছেন ৫০টি, মাওলানা আলী মর্তূজার মেয়ে নাজমা উত্তরপত্র দেখছে ৫০টি, বদরুলের মেয়ে মারিয়া উত্তরপত্র দেখছে ৫০টি, আব্দুল হাইয়ের মেয়ে উত্তরপত্র দেখছে ৫০টি, বাকি ৫০টি উত্তরপত্রসহ মোট ৪শত পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র দেওয়া হয় শিক্ষক মাহবুব উল্লাহর কাছে। কিন্তু এটি তার দায়িত্ব অবহেলা নয়তো আর কি? তিনি কি করে পারেন, শিক্ষকতার এমন মহান পেশার গুরু দায়িত্বের অবহেলা করতে। উত্তরপত্র দেখা সংক্রান্ত অনিয়মের কথা স্বীকার করে মাদরাসার অধ্যক্ষ হারিছ উদ্দিন জানান, আমি বিষয়টি জেনে মর্মাহত হয়েছি, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর খাতা যদি এভাবে যাচাই বা পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিয়মবহির্ভূত কাজ করা হয় তাহলে শিক্ষার মান নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরী হবে বৈ কী। আমি এ ব্যাপারে কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলব। বোর্ডের জেডিসি পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখার জন্য উপযুক্ত শিক্ষকদের দেওয়ার অর্থ কি? তা জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্মরণাপন্ন হলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ^াস জানান, আমি বিষয়টি শুনে হতবাক, আপনারা উর্ধ্বতনদের নিকট জানাতে পারেন এবং আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব বলে আশ^স্থ করেন।